
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মোজাইকের পরিবর্তে টাইলস স্থাপন করে অতিরিক্ত টাকা উত্তোলনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেনকে চাপ প্রয়োগ করছেন ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মো. হানজালা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতাধীন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ ভবন নির্মাণ কাজে ছয়টি ফ্লোরে মোজাইক স্থাপনের জন্য প্রাথমিকভাবে ৩৭.৭০ কোটি টাকা সংশোধিত ব্যয় ধরা হয়। (কাজটির দরপত্র মূল্য ৪৫.২৪ কোটি টাকা দেখানো হয়।)
জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ ভবন নির্মাণ কাজে মোজাইকের পরিবর্তে টাইলস স্থাপনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ২০১৬ সালের মে মাসের ৩১ তারিখে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেন। মোজাইক ব্যবহার না করার সঠিক কোনো কারণ দেখাতে না পারায়; সর্বসম্মতিক্রমে সভায় সিদ্ধান্তটি বাতিল হয়। এছাড়া শিডিউলের বাইরে কোনো কাজ করলে তার দায় কর্তৃপক্ষ নিবে না বলেও সিদ্ধান্ত হয়। বিষয়টি লিখিতভাবে ‘দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড দেশ উন্নয়ন লিমিটেড (জেডি)’ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পার্টনার ইনচার্জ ফজলুল করিম চৌধুরীকে ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসের ২৩ তারিখে জানান শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন।
তবে গত ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরের ১৬ তারিখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের স্টিয়ারিং কমিটির সভায় মোজাইকের পরিবর্তে টাইলস স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু স্টিয়ারিং কমিটির কাছে তথ্য গোপন করেই এই সিদ্ধান্ত পাস করানো হয়। যার কারণে ছয়টি ফ্লোরে অতিরিক্ত সাত কোটি টাকা বেশি ব্যয় হচ্ছে। এতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে অনৈতিক সুবিধা পাইয়ে দেয়া হচ্ছে। যা পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (পিপিএ) আইনের পরিপন্থী।
‘দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড দেশ উন্নয়ন লিমিটেড’ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণের এই কাজটি পাইয়ে দেন প্রকৌশলী দেওয়ান মো. হানজালা। ওই প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী হলেন ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা জুলফিকার ভূট্টু।
এ ব্যাপারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ভবন নির্মাণ ও এ যাবতীয় সকল সিদ্ধান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নেয়ার কথা। আর এটা তো অনেক পুরনো ব্যাপার। এসব বিষয় নিয়ে এত দিনে জিজ্ঞাস করেননি কেন। তাছাড়া এ বিষয়ে আমার চেয়ে শিক্ষা অধিদফতরের প্রকৌশলীরা ভালো বলতে পারবেন।
বিবার্তা/আদনান/আকবর/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
৪৬, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ
কারওয়ান বাজার (৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২১৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: bbartanational@gmail.com, info@bbarta24.net